টাকা কি এটা চেনেনা এমন মানুষের সংখ্যা খুজে পাওয়া মুশকিল। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত টাকার ব্যবহার জানে এবং এর জন কত কিছুই না হচ্ছে পৃথিবীতে। কিন্তু আমরা কি আসলেই জানি টাকা কি এবং কিভাবে কাজ করে।
আজকের আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের জাতীয় মুদ্রা টাকা নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন। এর আগে আমরা জেনেছি স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে বাঁচতে ৭টি কাজ করুন নিয়ে।
Contents
টাকা কি? অর্থ বুঝি
তোমরা আমার হাতে যা দেখতে পাচ্ছো এটা সবারই খুব পরিচিত একটা জিনিস। বলতো এটা কি? ঠিক ধরেছ! এটা একটা ১০০০ টাকার নোট।
আমরা সবাই জানি যে এই জিনিসটা নিয়ে আমরা যখন দোকানে যাই, আমরা এটা দিয়ে চকলেট-আইসক্রিম আমাদের প্রিয় যেকোন খাবার কিনে খেতে পারি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটাতো জাস্ট একটা কাগজের টুকরো তাহলে এটা দিয়ে কিভাবে করে আমরা বই কিনি, খেলনা কিনি, রেস্টুরেন্টে খাবার খাই বা বিদ্যুৎ বিল দেই?
একটু কাছ থেকে দেখলে খেয়াল করবে এই নোটের গায়ে একটি কথা লেখা আছে, “চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে”।
তারমানে এই কাগজটি যার কাছে থাকবে সে ১০০০ টাকা পরিমাণ মূল্যের দাবিদার এবং সেই নির্দেশনা প্রদান করছে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
টাকা কেন দরকার?
ধরো এই মোবাইল ফোনটির মূল্য ১০,০০০ টাকা, আর এই মোবাইল ফোনে কথা বলতে প্রতি মিনিটে খরচ হয় এক টাকা করে। অর্থাৎ ১০ মিনিট কথা বলতে আমার প্রয়োজন ১০ টাকা।
তারমানে এই মোবাইল ফোনটি কিনতে হলে ও এই ফোনে রিচার্জ করতে হলে আমাদেরকে এর সমমূল্যের কিছু একটা দোকানে দিতে হবে।
কিন্তু সেই সমমূল্যের বস্তুটি কী হতে পারে যার মাধ্যমে মানুষ নিজেদের মধ্যে সহজে বস্তু বা কোন সেবা আদান প্রদান করতে পারে?
এই চিন্তা থেকেই অর্থের উৎপত্তি। আমরা যখন টাকা ছাপাই তখন প্রতিটি টাকার নোটের গায়ে সেই টাকার মূল্য নির্দিষ্ট করে দেই। এই কাগজের কোণায় যেমন লেখা আছে “১০০০ টাকা”, তারমানে আমরা সবাই মিলে এই কাগজের মূল্য ১০০০ টাকা হিসেবে ধরে নিয়েছি এবং মেনে নিয়েছি।
এখন এই কাগজের বিনিময়ে আমরা ১০০০ টাকা সমমূল্যের জিনিস আদান- প্রদান করতে পারবো। তুমি যদি দোকানে গিয়ে দোকানদারকে এই কাগজটা দাও তাহলে তিনি এর বদলে ১০০০ টাকা সমমূল্যের দ্রব্য তোমাকে দেবেন।
তাহলে আমরা দেখলাম যে, মূল্য যোগ হওয়ার পরই কিন্তু এই আপাতদৃষ্টিতে মূল্যহীন কাগজটি অর্থে রুপান্তরিত হলো, যার পিছনে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমর্থন আছে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক।
টাকা বা অর্থের উৎপত্তি
অর্থ হল বিশ্বজুড়ে সাধারণভাবে প্রচলিত বিনিময়ের মাধ্যম, অর্থাৎ প্রতিদিনকার ছোট ছোট প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য আমরা যে দ্রব্য বা সেবা ব্যবহার করি, তা আমরা অর্থের বিনিময়ে পেয়ে থাকি এবং অর্থের বিনিময়ে দিয়ে থাকি ।
আমাদের দেশে যেমন অর্থকে আমরা টাকা হিসাবে চিনি তেমনি অন্যান্য দেশে টাকার বদলে অর্থের বিভিন্ন নাম আছে। ভারতে এর নাম রুপি, যুক্তরাষ্ট্রে এর নাম ডলার, ইউরোপে এর নাম ইউরো, এরকম বিভিন্ন নামের মুদ্রা বিভিন্ন দেশে প্রচলিত আছে।

অর্থ বা টাকার ইতিহাস বোঝার থেকে টাকা খরচ করা বেশ সহজ। দোকানে গিয়ে কিছু পছন্দ হলে, টাকা দিলাম আর কিনে নিলাম।
ব্যস, এটুকু করতে পারলেই হবে। কিন্তু টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা একটু কঠিন। এজন্য টাকার ব্যাপারে কিছু বিষয় জানার আছে, বোঝার আছে।
আমি কিভাবে টাকা জমাতে পারি, এর কি কোন নির্দিষ্ট নিয়ম আছে? কখন টাকা খরচ করব, এর কি কোন লিমিট বা সীমা আছে?
জমানো টাকা বাড়ানোর পদ্ধতি কি আর এই বাড়ানো টাকা কোন খাতে খাটালে সবচেয়ে ভাল হয়? টাকার মূল্য কি কখনো কমে যায়? – এই সব বিষয়ে আলোচনা হবে আমাদের এই কোর্সে।
টাকা কি এবং কিভাবে কাজ করে জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি টাকা কি এবং কিভাবে কাজ করে জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও প্রবন্ধ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
যে কোনো নোটের গায়ে কি লেখা থাকে?
ক. নোটটির একমাত্র মালিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক;
খ. চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে;
গ. চাহিবামাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে বাধ্য থাকিবে;
ঘ. নোটটির সমস্ত দায়ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের;
বিশ্ব জুড়ে সাধারণ বিনিময় মাধ্যম কোনটি?
ক. দ্রব্য;
খ. অর্থ;
গ. সেবা;
ঘ. ক্রিপ্টোকারেন্সি;
অর্থের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
ক. অর্থ বলতে শুধু “টাকা” বোঝায়;
খ. অর্থ খরচ একটি কঠিন ব্যাপার;
গ. অর্থের সঠিক ব্যবহার অনেক সহজ;
ঘ. অর্থ সরকার ও ব্যাংক অনুমোদিত একটি বিনিময় ব্যবস্থা;
কোন চিন্তা থেকে অর্থের উৎপত্তি?
ক. নিজেদের মধ্যে সহজ বিনিময় ব্যবস্থা তৈরীর জন্য;
খ. ব্যাংক বিনিময় সহজ করার জন্য;
গ. এক পাক্ষিক বিনিময়ের ব্যবস্থা তৈরির জন্য;
ঘ. মোবাইল কিনতে পারার জন্য;
1 Comment
Pingback: ছাত্র জীবনে টাকা আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনার কৌশল - Fabush