স্মার্টফোন বর্তমান সময়ে মানুষের পার্ট এন্ড পার্সেল হয়ে উঠেছে। একটি মুহুর্তও আমরা কল্পনা করতে পারিনা এটি ছাড়া। চলুন জেনে নিই স্মার্টফোন হ্যাক হওয়া ঠেকাতে ৫টি সতর্কতা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তিতে বিভিন্ন সেবার পরিমাণ।
মোবাইল ফোনেই এখন সবকিছু হয়। তাই এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও এখন সময়ের দাবি। ব্যাংক থেকে শুরু করে আমরা ব্যক্তিগত তথ্যসহ সব কিছুই এখন অনলাইনে হয়। এর বেশিরভাগ কাজই এখন হয় মোবাইল ফোনে। আপনি চাইলে আমাদের ভ্রমণে প্রয়োজনীয় ১০ টি অ্যাপ পড়ে নিতে পারেন।
Contents
স্মার্টফোন হ্যাক
ফিশিং বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে একজন দুষ্কৃতিকারী যখন আপনার স্মার্টফোনের সকল ব্যবহার করার ক্ষমতা নিয়ে নেয় সেটাকেই স্মার্ট হ্যাক হওয়া বলে।
স্মার্টফোন হ্যাক হওয়া একটি সমস্যা হতে পারে, যা আপনার ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিতে পারে। এটি হতে পারে কারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীর কাছে লক্ষ্য করে, কোন সফ্টওয়্যার ভুল ব্যবহার, ব্যাকআপ না করা, ব্যাকআপ করা সম্ভব না হলে ইত্যাদি।
স্মার্টফোন হ্যাক রোধে করণীয়
প্রত্যেকের জীবনে বর্তমানে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠা স্মার্ট ফোন নিরাপদ রাখা অনেক জরুরি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হ্যাকারগণ ওৎ পেতে বসে আছে আপনার ফোন বা পিসি হ্যাক করার জন্য।
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন হ্যাক হওয়ার রোধে আপনাকে কয়েকটি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এইসব নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। জানবো ঠিক কি কি করলে স্মার্ট ফোনে থাকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যাওয়া বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করার কৌশল Tricks to use ChatGPT
সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা
আমরা প্রায়ই অনেকেই স্মার্টফোনে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার বিষয়ে বরাবরই উদাসীন। কিন্তু ফোনে বা যেকোন একাউন্টে সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারনে মোবাইল ফোন হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই মোবাইল নম্বর, জন্ম সাল বা নিজের নাম ব্যবহার করি যা মোটেই উচিত নয়। আপনার স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড হতে হবে ইউনিক এবং লেটার, নাম্বার এবং বিশেষ লেটারের সংমিশ্রন।
কখনোই মোবাইল ফোনে ১২৩৪৫৬৭৮৯০ শুধু নাম্বার, নিজের নামের লেটার অথবা জন্ম সাল ব্যবহার করবেন না। এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন যার ক্লু আপনি ছাড়া কেউ আন্দাজ করতে পারবে না।
ফোন নম্বরের শেষের কয়েকটি ডিজিট বা নিজের জন্ম তারিখ দেন অনেকেই। এ ধরনের পাসওয়ার্ড বাইপাস করতে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে। যে কোনো পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে অবশ্যই কিছুটা ইউনিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করুন।
নির্দিষ্ট অ্যাপ স্টোর ছাড়া কোনো অ্যাপস্ ইন্সটল না করা
প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটিং কোম্পানী বা সিস্টেম এর নির্দিষ্ট অ্যাপ স্টোর রয়েছে। যেমন এন্ড্রয়েড এর জন্য গুগল প্লেস্টোর এবং অ্যাপল এর জন্য অ্যাপস স্টোর।

সবগুলো অপারেটিং সিস্টেম নানা ধাপে ডেভেলপারদের দ্বারা নির্মাণ করা অ্যাপগুলো যাচাই করে সিকিউরিটি নিশ্চিত করার পর তাদের নির্ধারিত স্টোরে পাবলিশ করার অনুমতি দেয়।
ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রায় সব ধরণের অ্যাপ স্টোরগুলোতে রয়েছে।
বরং প্রত্যেকটি ক্যাটাগরীর কয়েকশত বা হাজার অ্যাপ রয়েছে। সেগুলো থেকে নিজের চাহিদা মত অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
কখনোই নির্ধারিত অ্যাপ স্টোর ছাড়া অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এতে আপনার সিস্টেমে হ্যাকার তার দখল নিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে সোস্যাল মিডিয়া, মেসেঞ্জার এবং অন্যন্য মাধ্যমে আসা লিংকে ক্লিক করে অ্যাপ না ডাউনলোড করাই উত্তম।
পুরোনো সফটওয়্যার আপডেট করা বা মুছে দেওয়া
অনেক পুরনো সফটওয়্যার আপনার ফোনে থাকলে তা এখনই আপডেট করুন। অথবা খুব একটা প্রয়োজন না হলে তা মুছে দিন এবং এই ক্যাটাগরীর নতুন অ্যাপস ডাউনলোড করে নিন।

কারন পুরোনো সফটওয়্যারগুলোতে সিকিউরিটি অতটা শক্তিশালী থাকেনা। এই জন্য হ্যাকারগণ সামান্য খাটা খাটনি করেই ফোনের এক্সেস নিয়ে নিতে পারে।
অনেক মানুষই আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করার কারণে প্রতারকদের শিকার হন। সব সময় নিজের ডিভাইস আপগ্রেড করে রাখা দরকার।
অপরিচিত লিংকে প্রবেশ না করা
আমাদের ফোনের সোস্যাল মিডিয়া ইনবক্স বা মেইল বক্সে বিভিন্ন প্রকার অপরিচিত বা লোভনীয় অফার সমৃদ্ধ মেইল বা মেসেজ আসে। আমাদের উচিত এইসব মেইল থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে চলা।
সাধারণত হ্যাকাররা ফিশিং মেইল বা স্পাম লিংক প্রেরণ করে যেগুলো ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে এক্সেস নিয়ে নিবে।
তাই মেসেঞ্জার বা ইমেইলে আসা সকল ধরণের অপরিচিত লিংক থেকে নিরাপদ থাকুন। যেসকল কন্টাক্ট থেকে এইসব লিংক পাচ্ছেন সেগুলো ব্লক করে দিন।

কাউকে ডিভাইসের অ্যাক্সেস না দেওয়া
কোনোভাবে কখনোই কাউকে আপনার ডিভাইস এর এক্সেস দিবেন না। অনেকেই উদাসীন হয়ে নিজের স্মার্ট ফোনটি ইউজার পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে সব ধরণের এক্সেস অন্যের কাছে দিয়ে দেয়।
এই কাজটি মোটেই উচিত নয়। এর মাধ্যমেই মাধ্যমেই চুরি যেতে পারে আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
হ্যাকারগণ সব সময় দূর থেকে আপনার তথ্য হাতিয়ে নিবে ব্যাপারটি এমন নয়। হয়ত আপনার পাশে বসে থাকা লোকটি যিনি এইমাত্র আপনার কাছে সাহায্য চাইলো তিনিও একজন হ্যাকার।
প্রিয় পাঠক, আশা করছি উপরোক্ত স্মার্টফোন হ্যাক হওয়া ঠেকাতে ৫টি সতর্কতা অবলম্বন করে আপনার ডিভাইসটি সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এই সংক্রান্ত আরও কোনো তথ্য প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা এই পোস্টের শেষে কমেন্ট করুন।
1 Comment
Pingback: ব্রাউজারে ওয়েবসাইট ট্রান্সলেট করার নিয়ম